গ্যালারি

Making Word Press !!!!!!!!

Making Word Press

  • step 1

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগ তৈরির সাইট হল ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগার। তবে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরি করা ব্লগারের তুলনায় জটিল। এই জন্যই বেশির ভাগ ব্যবহারকারিই এখন ব্লগার দিয়েই ব্লগ তৈরি করে থাকেন। কারণ, ব্লগারে আপনি ইচ্ছা মতো প্লাগইন্স সহ বিভিন্ন ফ্ল্যাস লাগাতে পারবেন, কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে এটি লাগাতে আপনাকে অনেক ঝামেলা করতে হবে। তার উপর আপনি HTML Editor এর দ্বারা আপনার ব্লগারে তৈরি ব্লগকে আরও সুন্দর করতে পারবেন, যা আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থেকে সহজে পারবেন না। তবে ওয়ার্ডপ্রেস আপনাদের জন্য ব্লগারের প্রায় সবগুলো সুবিধাই রেখেছে ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়াডপ্রেসের রয়েছে প্রায় ১১৫++ নিজস্ব সুন্দর সুন্দর থীম। আপনি এখানে থেকে আপনার পচন্দ মতো নির্বাচন করতে পারবেন আপনার ভাল লাগা থিমটি। তার উপর ওয়ার্ডপ্রেস আপনাকে দিচ্ছে তাদের ৩ গিগাবাইট জায়গা, আর ব্লগার দিচ্ছে মাত্র ১ গিগাবাইট জায়গা। তাছাড়া, যারা এখন বড় বড় ওয়েব সাইট তৈরি করছে, তারা সবাই এখন ব্যবহার করছে ওয়ার্ডপ্রেস। যাই হোক, আমার মতে ওয়ার্ডপ্রেসেই ব্লগ তৈরির সবচেয়ে ভাল স্থান। তাহলে আর বকবক না করে টিউনে ফিরে যাই।

কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসে রেজিষ্ট্রেশন করবেন?

অন্যান্য সব একাউন্ট খোলার মতোই ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি সহজেই একাউন্ট করতে পারবেন। যাক, প্রথমে আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব ওয়েবসাইটে যান। ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব সাইট হলঃ www.wordpress.com. এখান থেকে Sign UP বাটনে ক্লিক করুন অথবা এখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে চলে আসবে একটি রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম। এখানে সঠিক ভাবে পূরণ করে Sign Up বাটনে ক্লিক করুন।

Blog Address: এখানে আপনার ব্লগের ঠিকানা দিন। যেমনঃ tweetersite. তাহলে আপনার ব্লগের ঠিকানা হবে tweetersite.wordpress.com

Username: এখানে ব্যবহারকারির নাম দিন।

Password: এখানে আপনার পচন্দের পাসওয়ার্ড দিন।

Confirm Password: এখানে আপনার পাসওয়ার্ডটি আবার দিন।

E-mail Address: বক্সে আপনার ই-মেইল ঠিকানাটি দিন। এক্ষেত্রে আপনি একটি নতুন ইমেইল তৈরি করতে পারেন।

এবার Sign Up বাটনে ক্লিক করুন। সব ঠিকঠাক থাকলে একাউন্ট খুলে যাবে। এবার আপনার ইমেইল খুলে দেখেন একটি Confirmation Link যাবে। লিংকটি ক্লিক করুন, তাহলেই্ আপনার একাউন্ট সক্রিয় হয়ে যাবে। এবার আপনার একাউন্টটি লগইন করুন। এই জন্য এখানে যান। তারপর উপরে দেখবেন লগইন বার আছে। এখানে আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্টে প্রবেশ করুন। অথবা, আপনার ব্রাউজারের এড্রেসবারে আপনার ব্লগের ঠিকানা লিখে তারপর লিখুন /wp-admin. যেমনঃ untweeter.wordpress.com//wp-admin. এখানে untweeter এর পরিবর্তে আপনার ব্লগের আইডিটি দেন। তাহলে আপনার ব্লগের ডেসবোর্ডে বা কন্ট্রোল প্যানেলে প্রবেশ করবে। এখান থেকেই আপনাকে সব কিছু কন্ট্রোল করতে হবে আপনার ব্লগের।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 2

ব্লগার থেকে ওয়ার্ডপ্রেসে স্থানান্তর

আপনার যদি আগে ব্লগারে কোন ব্লগ থাকে, তাহলে আপনি এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। এবার আমরা ব্লগার থেকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ স্থানান্তারিত করব। এবার আপনার ড্যাসবোর্ডের বাম দিকে তাকান। দেখবেন অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে (আমার ব্লগ বাংলায় ছিল, তাই এখানে বাংলা দেখা যাচ্ছে)। এখান থেকে Tools ক্যাটাগরিতে ক্লিক করুন। একটি সাবমেনু আসবে, সাবমেনু থেকে Import.. এ ক্লিক করুন। তাহলে একটি পাতা আসবে, এখান থেকে Blogger নির্বাচন করুন। তাহলে আপনাকে নিয়ে যাবে ব্লগারে। এখানে আপনি আপনার ব্লগারের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এবার নতুন একটি পাতা আসবে। তাহলে আপনাকে তারা দুটি অপশন দিবে নিচের মতো

এখান থেকে Grant access বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আরেকটি পাতায় আপনাকে নিয়ে যাবে। এখানে আপনার ব্লগের নামসহ একটি Import বাটন পাবেন। এবার Import বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ব্লগারে যে সকল পোষ্ট ছিল সব পোষ্টই ওয়ার্ডপ্রেসে চলে আসবে। এভাবে আপনি খুব সহজেই ব্লগার থেকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগের পোষ্ট সমূহ স্থানান্তরিত করতে পারেন। ব্লগার থেকে পোষ্ট স্থানান্তরের এটিই সবচেয়ে সহজ উপায়।

নতুন পোষ্ট করা

আমি অল্প কয়েকটি পর্বে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরির কাজ দেখাব তাই এই পর্বেই লিখছি কিভাবে আপনি নতুন পাষ্ট করবেন। চলুন একটা নতুন পোষ্ট দেই। আমরা যারা বিভিন্ন ব্লগে টিউন করি, তারা যেভাবে সেখান থেকে টিউন করেন এখানেও তেমনি পোষ্টের নিয়ম, নতুন কোন নিয়ম নেই। চলুন একটু জেনে নিই পোষ্ট করার নিয়ম।

আপনার ড্যাসবোর্ডে যাওয়ার পর উপরে ডানদিকে দেখেন একটি New post নামে বাটন আছে। এখানে ক্লিক করলে আপনাকে নিয়ে যাবে নতুন পোষ্ট করার পাতায়। ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মতো একটি পাতা আসবে।

আপনি এখন যে পাতায় আছেন, এটির উপরের বক্সটি যেখানে লেখা আছে Enter title here সেখানে আপনার পোষ্টের টাইটেল দিন। এটি দেখতে নিচের মতো।

এবার নিচের অপশনগুলো দেখুন

এবার দেখুন একটি বড় লেখার বক্স আছে নিচে। এটিই হল আপনার পোষ্টটির বর্ণনার ঘর। এখানে আপনি আপনার পোষ্টটি লিখবেন। তবে এটি দুই রকম। একটি হল Visual এবং অপরটি হল HTML. তবে লেখার ক্ষেত্রে আপনি দুটি দিয়েই লিখতে পারবেন। তবে HTML দিয়ে লিখলে ভাল হয়। এতে আপনি এইচটিএমএল এ লিখলে আপনি বিভিন্ন কোড দিয়ে আপনার পোষ্টটি সুন্দর করতে পারবেন। আপনি ইচ্ছা করলে Visual এও লিখতে পারবেন। আমরা সাধারণত এটতেই লিখে থাকি। আপনি HTML এ লিখে Visual এ ক্লিক করলে দেখতে পারবেন, আপনার পোষ্টি কেমন হয়েছে। এবার আসুন একটু জেনে নেই বিভিন্ন অপশানগুলো, যা পোষ্ট করতে প্রয়োজন হয়।

• B = কোন লেখাকে মোটা করতে এটিতে ক্লিক করতে হয়, তবে তা অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে।

• I = কোন লেখাকে সিলেক্ট করে এই বাটনটিতে ক্লিক করলে নির্বাচিত লেখা বাঁকা দেখাবে।

• Del = কোন লেখাকে কাটে দিতে এটি ক্লিক করতে হয়।

• Img = অন্য কোথাও আপলোড করে থাকলে তা আনতে এখানে ক্লিক করে উক্ত ছবির লিংক দিয়ে Ok করুন, তাহলেই ছবি চলে আসবে।

• Proofread = আপনার পোষ্টটি যদি ইংরেজি হয়, তাহলে আপনি আপনার লেখার বানান পরীক্ষা করতে পারবেন এটি দিয়ে।

• Lookup = কোন শব্দের বর্ণনা জানতে চাইলে এটিতে ক্লিক করুন।

• Ul = এটি ক্লিক করলে নিচের মতো দেখাবে।

অনির্বাচিত টিউনার

• Ol = এটিতে ক্লিক করলে নিচের মতো দেখাবে।

অনির্বাচিত টিউনার

• Li = নিচের মতো করতে এই বাটনে ক্লিক করুন।

  • অনির্বাচিত টিউনার

• Code = আপনি আপনার লেখাকে নিচের মতো করতে এখানে ক্লিক করুন।

অনির্বাচিত টিউনার

• আর আপনি যদি আপনার কম্পিউটার থেকে ছবি আপলোড করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। ও নিদেশনা অনুসারে আপলোড করুন।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 3

থিম নির্বাচন

আপনি ওয়েব ব্লগ তৈরি করবেন আর তার একটি সুন্দর থিম দিবেন না? জ্বী, টিউনার পেইজের দিকে তাকান একটি সুন্দর একটি থিম দিয়েছে আপনাদের। এই থিমটি প্রেমিয়াম মানে টাকা খরচ করে কেনা হয়েছে। কিন্তু কয়জনের সামর্থ্য আছে থিম কেনার। আর যেহেতু আপনি একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করবেন তাই থিমও ফ্রি নিন। ওয়ার্ডপ্রেস আপনাদের মতো যারা ফ্রি ব্যবহারকারিদের কথা চিন্তা করে রেখেছে ১১৫++ ফ্রি থিমের কালেকশান। আপনার যেটি ইচ্ছা সেটা নির্বাচন করে ব্যবহার করতে পারবেন।

এবার থিম নির্বাচনের পালা। প্রখমে ড্যাসবোর্ড যান। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Appearance >>> Themes নির্বাচন করুন। তাহলে আপনার সামনে অনেকগুলো থিম চলে আসবে। এবার আপনার পচ্নদ অনুযায়ী থিম নির্বাচন করুন। আপনার যে থিমটি পচন্দ হয় সে থিমের নিচে দেখবেন দুটি বাটন আছে Active এবং Preview. আপনি থিম নির্বাচন করার আগে Preview বাটনে ক্লিক করলে আপনার থিম দেখতে কেমন হবে তা দেখাবে, পচন্দ হলে Active বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার ব্লগের থিম সিলেক্ট হয়ে যাবে। থিম নির্বাচন মোটামুটি এই রকমই। আপনি ইচ্ছা করলে পরেও থিম পরিবর্তন করতে পারবেন। ধরি, আপনি Fusion থিমটি নির্বাচন করেছেন।

উইগেট নির্বাচন

এবার আপনারা একটি লক্ষ্য করুন টিউনার পেইজের প্রথম পাতার বাম দিকে অনেকগুলো উইগেট আছে। যেমন- চেইন টিউনের ২টি উইগেট, ক্যালেন্ডার, সার্চ বক্স, টিউন সাবইস্ক্রাইব ইত্যাদি। এগুলোর সবগুলোই উইগেট। ব্লগকে সাজাতে ও ব্লগে কাজ করার সুবিধার্থে এগুলো ব্যবহার করা হয়।

ওয়ার্ডপ্রেস অনেকগুলো ডিফল্ট উইগেট রয়েছে। তবে আপনি ইচ্ছা করলে HTML কোড দিয়ে আরও উইগেট তৈরি করতে পারেন। উইগেট নির্বাচনের জন্য Appearance >>> Widgets এ যান। ডান পাশে দেখুন অনেকগুলো উইগেট আছে। ধরি, আপনি Fusion থিমটি নির্বাচন করেছেন। তাহলে আপনি নিচের মতো একটি পাতা দেখতে পাবেন।

টিউনার পেইজের প্রথম পাতায় দেখুন ডান পাশে যে উইগেট প্যানেল আছে এটি হল Primary Widget Area আর নিচের দিকে যে উইগেট প্যানেল আছে এটি হল Footer Widget Area. এছাড়াও আপনারা অনেক ব্লগে দেখতে পাবেন দুটি উইগেট প্যানেল থাকে ডানে বা বামে। এগুলোর মধ্যে যেটি প্রধান সেটি হল Primary Widget Area, এরপর হল Secondary Widget Area এর বেশি হলে আরও নাম থাকবে। আরেকটি প্যানেল দেখবেন আপনার ব্লগের উইগেট অংশে তাহল Available Widgets. এই অংশ থেকে আপনার যে উইগেটটি প্রয়োজন তা ড্রাগ করে মানে মাউস চেপে ধরে Primary Widget Area/ Secondary Widget Area/ Footer Widget Area যে কোন প্যানেলের নিচে ছেড়ে দিলেই আপনার ব্লগে চলে আসবে।

এবার কয়েকটি উইগেটের বর্ণনা নিচে দিলাম

  • Blog Subscriptions >> আপনার ব্লগে দেয়া কোন নতুন পোষ্টের স্বয়ংক্রিয় আপডেট পেতে এটি দিতে পারেন। এটি আপনি টিউনার পেইজের প্রথম দিকেই দেখেন।
  • Blog Stats >> আপনার ব্লগে কতজন ভিজিটর এসেছেন, তা এখান থেকে জানতে পারবেন।
  • Calender >> ক্যালন্ডার হলে তারিখে বিন্যাস। এটি ভিজিটরসহ আপনার সুবিধার্থে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি কোন তারিখে কোন কোন পোষ্ট করেছেন তারও এখান থেকে দেখা যাবে।
  • Categories >> ক্যাটাগরি বা বিভাগ। আমরা বিভিন্ন পোষ্ট করে থাকি, কোন পোষ্ট কোন ক্যাটাগরির তারজন্য এটি ব্যবহার করা হয়। টিউনার পেইজে এই রকম প্রায় ৩৩টি বিভাগ রয়েছে। এটি সারিবদ্ধ ভাবে থাকে।
  • Category Cloud >> ক্যাটাগরির মেঘ, আপনি ক্যাটাগরি বা বিভাগ উপরেরটা বা এটা যে কোন একটি নির্বাচন করতে পারেন। এটি নির্বাচন করলে আপনার ক্যাটাগরিগুলো মেঘের মতো দেখতে পারবেন।
  • Flickr >> ইয়াহুতে ছবি সংরক্ষণের একটি বিভাগ আছে এর নাম Flickr. আপনার যদি Flickr এ ছবি থাকে তাহলে এখানে লিংক দিলে আপনার ছবিগুলো এখানে দেখাবে।
  • Gravatar >> গ্যাভাটারে আপনার যে ছবি ও তার উপর যে বর্ণনা আছে তা এখানে দেখাবে।
  • Image >> আপনি যদি কোন নিদিষ্ট ছবি দেখাতে চান, তাহলে এখানে তার লিংক, নাম ও বর্ণনা দিলে তা আপনার ব্লগে দেখাবে।
  • Links >> আপনার পচন্দনীয় যে ওয়েবসাইট সেগুলোর লিংক দিতে পারেন বা আপনার অন্য ব্লগগুলোর লিংক দিতে পারেন।
  • Meta >> আপনার ড্যাসবোর্ড দ্রুত আসার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • Pages >> আপনার ব্লগে কয়টি পাতা আছে ও সেগুলোর লিংকসহ নাম দেখাবে।
  • Recent Comments >> আপনার ব্লগে সর্বশেষ কে কে মন্তব্য করেছেন তার নাম, ছবি ও কোথায় মন্তব্য করেছে, তা দেখাবে। টিউনার পেইজের নিচের দিকে দেখুন এমনি একটি উইগেট আছে।
  • Recent Posts >> সর্বশেষ আপনি কি কি পোষ্ট করেছে তার লিষ্ট, শিরোনামসহ লিংক দেখাবে। টিউনার পেইজের নিচের দিকে দেখেন।
  • Search >> আপনার ব্লগের কোন তথ্য ভিজিটররা দ্রুত পেতে এটি ব্যবহার করুন।
  • Text >> কোন লেখা দেখানোর জন্য বা HTML Editor এর মাধ্যমে যে কোন কিছু দিতে পারেন।
  • Top Clicks >> আপনার ব্লগে ভিজিটররা যে যে লিংকে বেশি ক্লিক করেছে সেগুলো দেখতে পারবেন। এগুলো দৈনিক হিসেবে।
  • Top Posts & Pages >> সবচেয়ে বেশি দেখা পোষ্ট ও পাতাগুলো দেখবে (এগুলো দৈনিক হিসেবে)।
  • Twitter >> আপনার যদি টুইটার একাউন্ট থাকে, তাহলে তার লিংক দিলে এখানে সর্বশেষ আপডেটগুলো দেখাবে।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 4

প্রোফাইল পরিবর্তন করা

আমরা যারা বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি করি তারা তাদের সুবিধা মতো ব্লগের তাদের প্রোপাইল পরিবর্তন করে থাকেন। ওখানে আপনারা যেভাবে পরিবর্তন করেন এখানেও অনুরূপ। তবুও হালকা বলি।

প্রথমে আপনার ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। এবার ড্যাসবোর্ডের ডানদিকের উপরে দেখুন একটি অপশন আছে, এখানে দেখুন আপনি যখন ব্লগ রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন তখন যে নাম দিয়েছেন, সে নাম দেখতে পাবেন। উক্ত নামের উপর ক্লিক করুন, তাহলে আপনার প্রোপাইলে চলে যাবে। অথবা, ড্যাসবোর্ডের বামপাশের প্যানেল থেকে নিচের দিকের অপশন থেকে Users >>> My Profile এ ক্লিক করুন। এভার এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে নিন। যেমন- আপনার নাম, ব্লগে আপনার কি নাম দেখাবে, আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থাকে ইত্যাদি। তারপর প্রোপাইলের পাতার নিচের দিকে যান, দেখবেন Update Profile নামে একটি বাটন আছে, এতে ক্লিক করুন, তাহলে আপনার প্রোপাইলের পরিবর্তন সংরক্ষতি হবে।

এবার আসুন গ্রাভাটারের ছবি। আপনারা একটু লক্ষ্য করলেই দেখবে যে, টিউনার পেইজে যারা টিউনার তাদের প্রত্যেকেরই একটি করে ছবি আছে। এটি হল গ্রাভ্যাটরের ছবি। এটি মূলত ই-মেইল একাউন্টের বিপরীতে ছবিটি সেভ হয়। আপনি যে ই-মেইলের উপর এটি ব্যবহার করবেন, সে ই-মেইল দিয়ে যেখানেই লিখবেন, সেখানেই আপনার দেয়া ছবিটি চলে আসবে। এবার আসুন কিভাবে গ্রাভ্যাটারে ছবি যুক্ত করবেন। প্রোপাইল পরিবর্তনের পাতার ডানপাশে ছবি আপলোড করার একটি বক্স আছে, এখানে ছবি নির্বাচন করে দিন, তাহলেই ছবি যুক্ত হয়ে যাবে আপনার ইমেইলের সাথে। তবে এটি আপনি গ্রাভ্যাটারের ওয়েবসাইট থেকেও করতে পারবেন (gravatar.com)। আর কিভাবে গ্রাভ্যাটরে ছবি আপলোড করতে হয়, তার উপর এর আগেও টিউন হয়েছে। কষ্ট করে একটু খুঁজে নিন।

আপনার ব্লগকে তৈরি করুন মোবাইল সাইটে

আপনি যে ব্লগ তৈরি করছেন এটি পড়তে পারবে যারা কম্পিউটার থেকে আপনার ব্লগে ভিজিট করতে আসবে তারা। কিন্ত আপনি ইচ্ছা করলে সাইটটি মোবাইল থেকেও ভিজিট করতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে একটু কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি চলে যান আপনার ব্লগের ড্যাসবোর্ডে। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Appearance >>> Extras এ যান।

  • Display a mobile theme when this blog is viewed with a mobile browser

এটি নির্বাচন করলে আপনার ব্লগটি মোবাই্ল খেকে কেউ ভিজিট করলে এটি অটোমেটিক ভাবে মোবাইল থিমে পরিণত হবে। ফলে ভিজিটরের জন্য সুবিধাও হবে আপনার ব্লগটি দেখতে।

পোষ্টকে সংক্ষিপ্ত করা

আপনার আমার এই টিউনটি পড়ছেন অনেকেই। একটু লক্ষ্য করুন প্রথম পাতার দিকে। ওখানে কি আমার এই পোষ্টের সম্পূর্ণ অংশ দেখা যায়? যায় না, দেখা যায় মাত্র টিউনের কিছু অংশ। পুরো টিউন পড়তে হলে আপনাকে করতে হবে টিউনের শিরোনামে ক্লিক, তাই না? এটিই হল পোষ্ট সংক্ষিপ্তকরণ। এবার আপনি আপনার ব্লগে একটি টিউন করুন, দেখবেন টিউনটি আপনার ব্লগের প্রথম পাতায় সম্পূর্ণ আকারে দেখা যাচ্ছে। তাই এখন এটিকে প্রথম পাতা সংক্ষিপ্ত করা দরকার, কি বলেন, ঠিক না? জ্বী, ঠিক। তাহলে আপনি চলে যান আপনার ব্লগের ড্যাসবোর্ডে। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Appearance >>> Theme Options এ যান। নিচের দিকে দেখুন একটি অপশ আছে Display Full Post Or Excerpt. এখান আছে আরও দুটি অপশন যেখানে রয়েছে Full Post ও Excerpt. আপনি যদি Full Post নির্বাচন করেন তাহলে আপনার পোষ্টটি প্রথম পাতায় সম্পূর্ণ আকারে দেখাবে। আর যদি আপনি Excerpt নির্বাচন করেন তাহলে আপনার ব্লগের প্রথম পাতায় পোষ্টটি সংক্ষিপ্ত আকারে দেখাবে।

থিমের অপশন পরিবর্তন

থিমের বিভিন্ন অপশন পরিবর্তনের জন্য আপনি প্রথমে Appearance >>> Theme Options এ যান। এবার দেখুন….

  • Default Layout >>> আপনার থিমটি দেখতে কি রকম হবে তা নির্বাচন করুন। এখানে ৩-৪টি লেআউট আছে। আপনার যেটি পচন্দ সেটি নির্বাচন করুন।
  • Layout Width >>> আপনার ব্লগটি আপনার ব্লগ ভিজিটরের কাছে কেমন হবে তা এখান থেকে নির্বাচন করুন। এখান থেকে যদি আপনি Fixed নির্বাচন করেন, তাহলে আপনার ব্লগটি ভিজিটরে কম্পিউটারের মাপেই দেখাবে। আর যদি Width নির্বাচন করেন তাহলে আপনি যে সাইজ দিবেন সে অনুসারে ভিজিটরের কম্পিউটারে দেখাবে।

ব্লগ শিরোনাম ও ব্লগের হেডারে ছবি যোগ করা

প্রত্যেকটি ব্লগের একটি করে শিরোনাম বা টাইটেল থাকে যেমন- আমাদের এই সাইটের শিরোনাম হল “টিউনার পেইজ”। এই শিরোনামের সাথের আরেকটি অংশ হল সাইটটি কিসের উপর তার এক লাইনের বর্ণনা। যেমন- টিউনার পেইজের ছোট্ট বর্ণনাটি হল “The Ultimate Path of The Bangla Technology”। তাই আপনার ব্লগেরও এমনি একটি শিরোনাম দিতে হবে। তবে শিরোনাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চিন্তা করবেন আপনি কি ধরনের ব্লগ দিচ্ছেন সে হিসেবে ব্লগের নাম নির্বাচন করুন। যেমন- আমি একটি ছোট্ট ব্লগ তৈরি করেছিলাম, এটির লিংক ছিল- http://untweeter.wordpress.com এর শিরোনাম ছিল “সর্বশেষ প্রযুক্তি টুইট”, এর সাব টাইটেল ছিল “প্রযুক্তির সর্বশেষ আপডেটসহ সকল ধরনের খবরের কেন্দ্রবিন্দু”। তাই আপনাকে এমন ভাবে আপনার ব্লগের শিরোনাম দিতে হবে যাতে ভিজিটররা আপনার সাইটের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

এখন আপনার সাইটের নাম ও সাবটাইটেল দেয়ার জন্য আপনার ড্যাসবোর্ডে যান। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Settings >>> General এ যান। এবার এখান থেকে Site Title এ আপনার ব্লগের নাম দিন ও Tagline এ আপনার ব্লগটি কিসের তার উপর ভিত্তি করে একটি ট্যাগ লাইন দিন। এবার আপনার ব্লগের একটি আইকন নির্বাচন করুন। এবার ব্লগের আইকন দিতে এই পাতার ডান পাশে দেখবেন একটি ইমেজ বক্স আছে। এখান থেকে আপনার ব্লগের আইকন আপলোড করুন। তাহলেই আইকন সেট হয়ে যাবে।

এবার আসুন আপনার ব্লগের হেডারের ছবি যোগ করা। আপনি যদি আপনার ব্লগের জন্য একটি হেডার বা ছবি দিতে চান তাহলে Appearance >>> Header এ যান। আপনি এখান থেকে আপনার ব্লগের জন্য একটি ছবি যোগ, ব্লগের টাইটেলের রং পরিবর্তন ও ইচ্ছা করলে নাম সরিয়ে ফেলার কাজ করতে পারবেন।

প্রথমে আসুন হেডারে ছবি যোগ করি। আপনি আপনার হেডারের জন্য একটি ছবি নির্বাচন করুন, যার সাইজ হবে ৯৮০*১৪৮ পিক্সেল। এবার Upload Image থেকে আপনার আপনার ছবি আপলোড করুন। তবে আপনি ইচ্ছা করলে অনেকগুলো আপলোড করে হেডার ইমেজকে Random করে দিতে পারেন। তাহলে আপনার হেডার ইমেজ কিছুক্ষণ পরপর পরিবর্তন হবে। তবে আপনি ইচ্ছা করলে হেডার ইমেজ বাদ দিতে পারন। এজন্য Remove Header Image এ ক্লিক করুন।

এবার আসুন আপনার ব্লগের শিরোনামের রং পরিবর্তনে। আপনি যদি আপনার ব্লগ শিরোনামের রং পরিবর্তন করতে চান তাহলে একাই পাতার নিচের দিকে দেখুন Text Color আছে। এবার Select a Color এ আপনার পচন্দের রং নির্বাচন করুন। উপরে Preview তে দেখতে পাবেন আপনার রংয়ের পরিবর্তন। আর আপনি যদি আপনার ব্লগের নাম দেখাতে না চান, তাহলে Display Text >>> No নির্বাচন করুন, শিরোনাম ব্লগে দেখাতে Yes নির্বাচন করুন। সবকিছু পরিবর্তন করার পর অবশ্যই সেভ করবেন। এজন্য নিচের Save Changes বাটনে ক্লিক করুন।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 5

ব্লগকে বাংলা ভাষায় রূপান্তর ও টাইম জোন

আমরা বাঙ্গালি আর আমাদের মাতৃভাষা হল বাংলা। তাই আপনার ব্লগকেও তৈরি করুন বাংলা ব্লগে। আর এই জন্য আপনাকে কয়েকটা ক্লিক করতে হবে। প্রথমে আপনি ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Settings >> General এ যান। এবার নিচের দিকে গিয়ে Language অপশন থেকে বাংলা ভাষা নির্বাচন করুন। এজন্য “bn-বাংলা” নির্বাচন করুন। এবার সেভ করুন।

Timezone হল আপনার এলাকার সময় নির্ধারণ করা। যেহেতু আমরা বাংলাদেশি তাহলে Timezone >>> Dhaka নির্বাচন করুন। এবার তারিখ ও সময় বিন্যাস করুন। মানে আপনার পোষ্টে তারিখ ও সময় কিভাবে দেখাবেন তাই। এজন্য Data Format >>> আপনার পচন্দ মতো বিন্যাস নির্বাচন করুন, Time Format >>> থেকে আপনার পচন্দ মতো নির্বাচন করুন, Week Starts on থেকে নির্বাচন করুন দিন, যা দিয়ে আপনি সপ্তাহ শুরু করবেন।

আপনার ব্লগে কেউ মন্তব্য করলে বা কেউ আপনার ব্লগের সাবস্ক্রাইব হলে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস কতৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাকে মেইল করে জানাবে। এগুলো আপনাকে জানাবে আপনার কোন ই-মেইলে পাঠাবে তা নির্ধারণ করতে হবে। এজন্য Email Address থেকে আপনার ই-মেইল এড্রেস দিন। সবকিছু করার পর অবশ্যই সেভ করবেন।

নতুন পৃষ্ঠা তৈরি করা

আপনারা বিভিন্ন ব্লগে দেখবেন তারা অনেকগুলো পৃষ্ঠা তৈরি করে রাখে। যেমন- টিউনার পেইজের উপরে দেখুন অনেকগুলো পাতা আছে। যেমন- আমাদের কথা, হ্যাকিং ক্লাস, ব্লগবিধি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনারও হয়ত দরকার হতে পারে বিভিন্ন পাতা তৈরি করার। যেমন- সূচীপত্র, প্রথম পাতা, সম্পর্কে, টিউটোরিয়াল, বইয়ের লাইব্রেরি ইত্যাদি। এগুলো উদাহরণ দিলাম এই আর কি। আসুন এবার পৃষ্ঠা তৈরি করি….

প্রথমে আপনার ব্লগের ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Pages >>> Add New এ যান। তাহলে নতুন পোষ্ট করার মতো একটি পাতা আসবে। এখানে টাইটেলে আপনি যে পৃষ্ঠা তৈরি করতে চান তার নাম লিখুন। আর আপনার তৈরি করা পাতার মধ্যে কিছু লেখতে চাইলে বর্ণনা অংশে লিখুন। এবার Publish বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই পাতা তৈরি হয়ে যাবে।

এবার আপনি যদি একটি পাতা অধীন আরও পাতা তৈরি করতে চান। যেমন- আপনি যদি চান “বইয়ের লাইব্রেরি” পাতার অধীনে “ডাঃ জাকির নায়েকের বই” নামে আরেকটি পাতা দিবেন। তাহলে ডানপাশে লক্ষ্য করুন। Page Attributes নামে একটি অপশন আছে এখানে রয়েছে তিনটি সাব অপশন Parent, Template এবং Order. এখান থেকে Parent এ ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ব্লগের সবগুলো পাতা দেখাবে। এখান থেকে আপনি যে মূল পাতার অধীনে আপনার পাতাটি রাখতে চান তা নির্বাচন করুন। যেমন- আমরা “ডাঃ জাকির নায়েকের বই” এই পাতাটি “বইয়ের লাইব্রেরি” পাতার অধীনে রাখব। তাই, নতুন একটি পাতা নিন এবার টাইটেলে “ডাঃ জাকির নায়েকের বই” লিখুন এবং Parent থেকে “বইয়ের লাইব্রেরি” নির্বাচন করুন। এবার Publish বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার ব্লগে গিয়ে দেখুন “বইয়ের লাইব্রেরি” পাতার অধীনে মেনু আকারে “ডাঃ জাকির নায়েকের বই” পাতা সাবমেনুতে চলে এসেছে।

নতুন পোষ্ট করা

কিভাবে নতুন পোষ্ট করা যায় আমি এর আগেই দেখিয়েছি। তাই এখানে আর দেই নি, কষ্ট করে দেখে নিন।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 6

সামাজিক সাইটগুলোতে অটোমেটিক পোষ্ট আপডেট

সামাজিক সাইট বলতে ফেইসবুক, টুইটার, ইয়াহুতে সরাসরি ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোষ্ট করবেন এটাই দেখাব। আপনারা কি কখনও লক্ষ্য করেছেন, আমাদের টিউনার পেইজে কোন নতুন টিউন হলেই তা সরাসরি ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেইসবুকে আপডেট হয়। এক্ষ্রেত্রে কেউ কোন কিছুই করে না। শুধু ব্লগে একটু কাজ করা হয়েছে। মানে ব্লগে ফেইসবুকের লিংক দেয়া আছে, তাই সরাসরি আপডেট। এই কাজটি যদি আপনি করেন, তাহলে আপনার ব্লগে ভিজিটরও বাড়বে। ফলে আপনার ব্লগটিও হয়ে উঠবে দ্রুত জনপ্রিয়। এবার চলুন কাজটি করি।

আপনার ব্লগের ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে My Blogs এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মতো একটি পাতা আসবে।

দেখুন অনেকগুলো চেকবক্স আছে। আপনি আপনার পচন্দ মতো জায়গায় টিক দিন। ইচ্ছা করলে সবগুলোতেই চেক করতে পারবেন। এখন মনে করি, আপনি টুইটারে আপনার ব্লগের নতুন নতুন টিউনগুলো সরাসরি আপডেট করবেন। Twitter চেক করুন। তাহলে আপনাকে সরাসরি টুইটার একাউন্টে নিয়ে যাবে। এবার আপনার টুইটার একাউন্ট লগইন করুন। আর যদি একা্‌উন্ট না থাকে তাহলে একটি একাউন্ট খুলে নিন। আপনি লগইন করার পর আর সাইন আউট করবেন না। তাহলে আপনি নতুন টিউন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই টুইটারে টিউন শুরু হয়ে যাবে।

এলোমেলো টিউন

এলোমেলো টিউন হল আপনি যদি বিভিন্ন ব্লগ ভিজিটর হন, তাহলে বিভিন্ন জায়গায় দেখবেন এলোমেলা পোষ্ট থাকে। যেমন- টিউনার পেইজেই আপনাদের জন্য এই রকমই একটি অপশন আছে। কোথায়? আপনি উপরের স্লাইডবারের মানে “লগইন/রেজিট্রাষ্টার” বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে উপর থেকে একটি বক্স আসবে। বামদিকে দেখুন, লেখা আছে “সর্বশেষ টিউন” এটার নিচেই দেখবেন একটি টিউন আছে। কি আছে দেখুন! এবার বক্সটি আবার বন্ধ করে আবার খুলুন, দেখবেন আরেকটি চলে এসেছে। এটাই হল এলোমেলো টিউন বা র‍্যানডোম টিউন।

আপনি ইচ্ছা করলে আপনারও ব্লগেও এমন একটি টিউন রাখতে পারেন। এজন্য ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। বামপাশের প্যানেল থেকে Appearance >> Widgets এ যান। এবার একটি নতুন Text উইজেট নিন। এটাকে টেনে আপনার পচন্দ মতো জায়গায় বসান। এবার এটি ভিতরে লিখুন,

<span style=”font-size:130%;”><a class=”blank” href=”http://untweeter.wordpress.com/?random” title=”এলোমেলো ভাবে একটি টিউন দেখাতে এখানে গুঁতো মারুন” target=”_blank”>Random Post</a></span>

উপরে কোডটি টেক্সট বক্সটির টাইটেল বক্সে পেষ্ট করবেন। আবার সেভ করুন ও আপনার ব্লগে দেখুন একটি র‍্যানডোম অপশন চলে এসেছে। তবে untweeter.wordpress.com এর পরির্বতে আপনার ব্লগের লিংক দিবেন।

ব্লগে ফেইসবুক ও টুইটার লিংক দেয়া

অনেক ব্লগে দেখে থাকবেন যে, ব্লগের একপাশে ব্লগের ফেইসবুক লিংক বা টুইটার লিংক থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ব্লগেও আপনার ফেইসবুকের লিংক বা টুইটারের লিংক দিতে পারেন। এজন্য ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। বামপাশের প্যানেল থেকে Appearance >> Widgets এ যান। এবার একটি নতুন Text উইজেট নিন। এটাকে টেনে আপনার পচন্দ মতো জায়গায় বসান। এবার এটি ভিতরে লিখুন,

ফেইসবুকের জন্য,

<a href=”http://www.facebook.com/username” target=”_blank”><img src=”http://cache.addthis.com/icons/v1/thumbs/32×32/facebook.png” border=”0″ alt=”Facebook” /></a>

টুইটারের জন্য

<a href=”http://twitter.com/username” target=”_blank”><img src=”http://cache.addthis.com/icons/v1/thumbs/32×32/twitter.png” border=”0″ alt=”Twitter” /></a>

কোডটির দিকে লক্ষ্য করুন, www.facebook.com/username ও twitter.com/username ২টি লাইন আছে, দুইটি কোড। এখানের user name এর জায়গায় আপনার প্রোপাইলের লিংক দিবেন। যেমন- আমার ফেইসবুকের প্রোপাইল লিংক হলে tweetersite. তাহলে কোড লিখবো  http://www.facebook.com/tweetersite. একই ভাবে টুইটারেও।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে সূচীপত্র তৈরি

মনে করেন আপনি আপনার ব্লগে ১০০টি টিউন করেছেন। এখন আপনি এগুলো দেখতে হলে আপনাকে এক এক পাতা করে দেখতে হবে। কিন্তু আপনি যদি একটি বুদ্ধি খাটান তাহলে এই কষ্ট চলে যাবে। মানে এক ঠিলে দুই পাখি মারা। আর এর জন্য প্রয়োজন লিষ্ট রাখা। এখন যদি আপনার ব্লগই আপনার প্রত্যেকটি টিউনের স্বয়ংক্রিয় সূচীপত্র তৈরি করে দেয়, তাহলে কেমন হয়? খুবই মজা, তাই না? জ্বী, আপনাকে মাত্র একটি শব্দ লিখতে হবে। তাহলেই হবে।

এজন্য আপনার ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। এবার একটি নতুন পাতা তৈরি করুন। আমি আমার আগের পর্বে দেখিয়ে ছিলাম কিভাবে নতুন পাতা তৈরি করতে হয়। তাই কষ্ট করে একটু দেখে নিন। এবার পাতার টাইটেলে লিখুন আপনার ইচ্ছা মতো শিরোনাম। যেমন- সূচীপত্র, পোষ্টসূচী, সকল টিউন, টিউন মেলা ইত্যাদি। এবার বর্ণনা অংশে লিংখুন

[ archives ]

এখানে আমি archives এর দু’পাশে খালি রেখেছি, আপনারা যখন লেখবেন তখন খালি রাখবেন না। খালি থাকলে কাজ হবে না। আমি খালি রেখেছি, কারণ খালি না রাখলে টিউনার পেইজের সকল টিউন এখানে চলে আসবে । এখন আপনি তো টিউনসূচী তৈরি করলেন, এখন সমস্যা হল, লেখা যদি ছোট ছোট দেখায়, তাহলে? তাহলে উপরের কোডটির পরিবর্তে নিচের কোডটি লিখুন

<span style=”font-size:130%;”>[ archives ]</span>

এখানে আমি archives এর দু’পাশে খালি রেখেছি, আপনারা যখন লেখবেন তখন খালি রাখবেন না। খালি থাকলে কাজ হবে না। আমি খালি রেখেছি, কারণ খালি না রাখলে টিউনার পেইজের সকল টিউন এখানে চলে আসবে । নিচে আর কিছু স্টাইল দিলাম সূচীপত্রের…

Last 12 months:

Last 12 months with post count:

Last 18 days:

Last 32 posts:

Last 3 weeks:

All posts in a drop-down:

Last 12 months with post count in a drop-down:

Last 17 weeks with some before and after text:

Note: Do not copy and paste the above examples, as they will not work on your blog (there is extra HTML code within the brackets required to prevent the shortcodes from actually generating an archives list). Please be sure to type out the shortcode manually when adding it to your blog.

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 7

টিউনার যোগ করা

আপনার ব্লগটি হয়ত ব্যক্তিগত। যেখানে আপনিই শুধু লেখেন। এতে আপনাকে বেশি কষ্ট করতে হয়। আপনি চাইলে আরও টিউনার যুক্ত করে আপনার এই কষ্ট কিছুটা কমাতে পারেন। মানে আপনি আপনার ব্লগে আপনার ইচ্ছা মতো লেখক যোগ করতে পারবেন। যেমন- টিউনার পেইজে অনেক টিউনার আছে। আপনার প্রথম পাতার ডানপাশে দেখবেন টপ টিজেদের তালিকা আছে। মানে এখানে যারা এই ব্লগে বেশি লিখেছেন তাদের তালিকা। এই রকম আরও টিজে আছে এই ব্লগে। এখানে তো আপনারা নিজে নিজেই যুক্ত হতে পারেন, কিন্তু আপনার ব্লগে ইচ্ছা মতো কেউ যুক্ত হতে পারবে না। যুক্ত করতে হলে আপনাকেই কাজ করতে হবে। এজন্য….

আপনার ব্লগের ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Users >>> Users এ যান। এবার আপনি যে পাতায় গিয়ে পোঁছাবে, সেখানে দেখবেন, আপনার ব্লগের সকল লেখকদের দেখতে পাবেন। অবশ্য আপনির একাউন্ট ছাড়া আর কারও একাউন্ট দেখবেন না। কারণ আপনিই শুধু এখানের লেখক ও পরিচালক। এখন মনে করি, আপনি “অনির্বাচিত টিউনার” কে আপনার ব্লগের লেখক হিসেবে যুক্ত করবেন। এখান লেখক যুক্ত করার জন্য Add User Form Community >>> User E-Mail এ লেখকের ইমেইল আইডি দেন। এবার Role থেকে আপনার যুক্ত করা ইউজারের পদ নির্বাচন করুন। যেমন- যদি শুধু লেখক হয় তাহলে Another, মডারেটর হিসেবে রাখতে Moderator নির্বাচন করুন, এখানে আপনার ইচ্ছা মতো পদ নির্বাচন করুন। এবার Add Users এ ক্লিক করুন। তাহলেই নতুন ইউজার যোগ হয়ে যাবে।  এভাবে আপনার ইচ্ছা মতো টিউনার/ব্লগার যুক্ত করতে পারবেন।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 8

আজকের পর্ব হল আপনার ব্লগের কিভাবে SEO (Search Engine Optimaige) করবে। SEO আশা করি বুঝেছেন। আপনাদের পিপি ভাই আপনাদের জন্য ধারাবাহিক SEO এর টিউন করছেন। আপনারা সবাই তারা সাথেই শিখে নিন কিভাবে SEO করতে হয়। তবে আমি যে SEO দেখাব, এটি শুধু মাত্র ওয়ার্ডপ্রেসে ফ্রি ব্লগের জন্য প্রযোজ্য। কারণ আপনি যেগেতু কোন প্লাগইনস ব্যবহার করতে পারছেন না, তাই আপনাকে আমার দেখানো পথেই যেতে হবে। যাদের নিজস্ব সার্ভারে ওয়েবসাইট আছে, তারা বিভিন্ন প্লাগইনস ব্যবহার করে SEO করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি অক্ষম।

তবে আপনি যদি আপনার ব্লগে SEO করেন তাহলে আপনাকে কয়েকটি কাজ ভাল ভাবে করতে হবে। কাজ গুলো হলঃ ১। নিয়মিত টিউন করা, ২। কপি পেষ্ট করা যাবে না, ৩। আপনার ব্লগটি অবশ্যই মান সম্মত হতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসে গুগল, বিং ও ইয়াহু তিনটি দ্বারা SEO করা যায়। তিনটিতেই করলে ভাল। তবে SEO আপনি কখন করবেন? SEO আপনি ঐ সময় করবেন যখন আপনার ব্লগে একাধিক ব্লগার থাকবে। কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসে একাধিক ব্লগার যুক্ত করতে হয় তা আমি আগের পর্বে দেখিয়েছি। কারণ আপনি হয়ত বুঝে শুনে লিখবেন কিন্তু আপনার ব্লগাররা যদি ঠিক ভাবে না লিখে তাহলে আপনার ব্লগটি আস্তে আস্তে খারাপ ও বাজে হয়ে যাবে। যাক চলুন আপনার তৈরি করা ব্লগের SEO টা করে ফেলি।

প্রথমে আপনার ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুন। এবার বামপাশের প্যানেল থেকে Tools এ যান। এখানে তিনটি অপশন পাবেন, গুগল, ইয়াহু ও বিং এর। একে একে সিইও করবো।

Google Webmaster Tools

  • একটি নতুন ট্যাব খুলে এখানে যান https://www.google.com/webmasters/tools/
  • এবার আপনার গুগল একাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। গুগল একাউন্ট না থাকলে একটি তৈরি করে নিন।
  • লগইন করার পর আপনাকে একটি পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে।
  • ওখানে আপনার ব্লগের নাম চাইবে। আপনার ব্লগের লিংকটা দিন। যেমন- untweeter.wordpress.com
  • এবার আপনাকে বলবে আপনার সাইটটি কি ধরনের মানে আপনার ব্লগকে আপনি কি ধরনের সাইট হিসেবে পরিচিত করবেন তাই্ Mete Tag থেকে দিবেন।
  • সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে একটি কোড দিবে তারা দেখতে অনেকটা এই রকম…

<meta name=’google-site-verification’ content=’dBw5CvburAxi537Rp9qi5uG2174Vb6JwHwIRwPSLIK8′>

  • এবার কোডটি কপি করে আপনার ব্লগের Tools >> Google Webmaster Tools এ পেষ্ট করুন।
  • এবার সবকিছু সেভ করুন ও কোডের পাতায় আবার যান।
  • এবার এখান থেকে Verify বাটনে ক্লিক করুন।
  • তাহলেই গুগলের দ্বারা সিইও করার কাজ শেষ।

Yahoo Site Explorer

  • ইয়াহু থেকে সিইও করতে প্রথমে এখানে যান https://siteexplorer.search.yahoo.com/
  • এবার আপনার ইয়াহু একাউন্ট দিয়ে লগইন করুন না থাকলে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিন। তবে ইয়াহুতে একাউন্ট না থাকলে জিমেইল বা হটমেইট একাউন্ট দিয়ে লগইন করেও করতে পারবেন।
  • এবার আপনাকে সিইও এর পাতায় নিয়ে যাবে।
  • ওখানে আপনার ব্লগের নাম চাইবে। আপনার ব্লগের লিংকটা দিন। যেমন- untweeter.wordpress.com
  • এবার আপনাকে বলবে আপনার সাইটটি কি ধরনের মানে আপনার ব্লগকে আপনি কি ধরনের সাইট হিসেবে পরিচিত করবেন তাই্ Mete Tag থেকে দিবেন।
  • সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে একটি কোড দিবে তারা দেখতে অনেকটা এই রকম…

<meta name=’y_key’ content=’3236dee82aabe064′>

  • এবার কোডটি কপি করে আপনার ব্লগের Tools >> Yahoo! Site Explorer এ পেষ্ট করুন।
  • এবার সবকিছু সেভ করুন ও কোডের পাতায় আবার যান।
  • এবার এখান থেকে Ready to Authenticate বাটনে ক্লিক করুন।
  • তাহলেই ইয়াহুর দ্বারা সিইও করার কাজ শেষ।
  • তবে এক্ষেত্রে আপনার কাছে ২৪ ঘন্টা সময়ও নিতে পারে।

Bing Webmaster Center

  • একটি নতুন ট্যাব খুলে এখানে যান http://www.bing.com/webmaster
  • এবার আপনার হটমেইল বা লাইভ মেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। একাউন্ট না থাকলে একটি তৈরি করে নিন।
  • লগইন করার পর আপনাকে একটি পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে।
  • ওখানে আপনার ব্লগের নাম চাইবে। আপনার ব্লগের লিংকটা দিন। যেমন- untweeter.wordpress.com
  • এবার Submit বাটনে ক্লিক করুন।
  • এবার আপনাকে বলবে আপনার সাইটটি কি ধরনের মানে আপনার ব্লগকে আপনি কি ধরনের সাইট হিসেবে পরিচিত করবেন তাই্ Mete Tag থেকে দিবেন।
  • সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে একটি কোড দিবে তারা দেখতে অনেকটা এই রকম…

<meta name=’msvalidate.01′ content=’12C1203B5086AECE94EB3A3D9830B2E’>

  • এবার কোডটি কপি করে আপনার ব্লগের Tools >> Bing Webmaster Center এ পেষ্ট করুন।
  • এবার সবকিছু সেভ করুন ও কোডের পাতায় আবার যান।
  • এবার এখান থেকে Return to the Site List বাটনে ক্লিক করুন।
  • তাহলেই গুগলের দ্বারা সিইও করার কাজ শেষ।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

step 9

  • আপনার ব্লগের একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করুন। যা দেখে ভিজিটররা আপনার ব্লগে আসতে উৎসাহি হয়।
  • আপনার ব্লগের জন্য একটি সুন্দর আইকন বা লগো নির্বাচন। তা অবশ্যই ব্লগে ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে করবেন।
  • আপনার ব্লগে নিয়মিত নতুন নতুন টিউন করুন।
  • অন্যান্য জনপ্রিয় ব্লগগুলোতে একটি করে রিভিউ দিতে পারেন।
  • বিভিন্ন ব্লগে গিয়ে মন্তব্য করতে পারেন।
  • টিউন করার সময় অবশ্যই টিউনের উপর ভিত্তি করে ভাল ভাল ছবি যুক্ত করুন।
  • বর্তমানে ইমেইলে স্বাক্ষর যুক্ত করা যায়। স্বাক্ষর অংশে আপনার ব্লগের লিংক দিয়ে রাখতে পারেন। ফলে আপনি কোথাও মেইল করলে তার সাখে লিংকও যাবে।
  • নিউজলেটারের ব্যবস্থা রাখুন। এতে অনেকেই আপনার ব্লগের নতুন নতুন টিউন পড়তে চলে আসবে।
  • আপনার ব্লগের সাথে ফেইসবুকে শেয়ার করার ব্যবস্থা রাখুন। এতে ফেইসবুকে লিংক দেখে অনেকেই চলে আসবে আপনার ব্লগে।
  • আপনার ব্লগের সাথে টুইটারে শেয়ার করার ব্যবস্থা রাখুন। এতে টুইটারে লিংক দেখে অনেকেই চলে আসবে আপনার ব্লগে।
  • বাজে কোন টিউন করবেন না। এতে ভিজিটর কমে যাবে।
  • টিউন লেখার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যাতে টিউনে কোন কঠিন শব্দ প্রবেশ না করে।
  • আপনার ব্লগে যারা মন্তব্য করবে তাদের মন্তব্য কখনও পরিবর্তন বা মডারেশন করবেন না। এতে আপনার ব্লগের প্রতি ভিজিটররা খারাপ চিন্তা করবে।
  • অনেক ব্লগে দেখা যায়, যেখানে মন্তব্য করতে হলে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। এটি করবেন না, এতে ভিজিটররা মন্তব্য করতে নিরুৎসাহিত হয়।
  • আপনার ব্লগের মন্তব্যকারিদের মন্তব্যের অবশ্যই জবাব দেবেন। এতে ভিজিটররা খুশি হবে ও ভিজিটরও বাড়বে।
  • সর্বশেষ কে কে মন্তব্য করেছেন এর একটা তালিকা রাখবেন।
  • আপনি যখন আপনার মন্তব্যকারিদের জবাব দেবেন, তখন অবশ্যই ভাল ভাবে দেখাবেন ও আন্তরিক ব্যবহার দেখাবেন। কোন খারাপ আচরণ করবেন না।
  • যে টিউনগুলো করবেন, সেগুলো সুন্দর একটি শিরোনাম দিবেন, যাতে ভিজিটররা আগ্রহী হয় দেখতে।
  • মন্তব্য করার পর অন্তত বলবেন “ধন্যবাদ আপনাকে, আমাদের সাথেই থাকুন”, “আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ” বা আপনার ইচ্ছা মতো ভাল ব্যবহার করবেন।
  • মন্তব্যকারিদের ইচ্ছা অনুযায়ী টিউন করতে চেষ্টা করবেন। যেমন- আপনার ভিজিটর চাইল যে কিভাবে কম্পিউটার অন করতে তার উপর টিউন করতে। তাই আপনার উচিৎ এর উপর একটি টিউন করা। এতে ভিজিটররা আপনার ব্লগের প্রতি আরও আগ্রহী হবে।
  • বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে একটি পাতা রাখতে পারেন। এতে ভিজিটররা কোন সমস্যায় পড়লে আপনাকে জানাবে। আপনি যদি তাদের সমস্যার সমাধান করেন, তাহলে আপনার ব্লগের প্রতি ভিজিটররা আরও বেশি আগ্রহী হবে।
  • মন্তব্যের সাথে এ্যাভাটার যুক্ত রাখুন, তাহলে মন্তব্যটি আরও সুন্দর দেখাবে।
  • প্রতি টিউনের শেষে আপনি ভিজিটরদের প্রতি কয়েকটি প্রশ্ন করবেন টিউনের উপর ভিত্তি করে। মানে ভিজিটররা এই টিউন থেকে কি কি শিখতে পেরেছে এর উপর প্রশ্নগুলো করবেন। এতে আপনার টিউনে মন্তব্যের পরিমাণ বাড়বে।
  • তাছাড়া আপনার ব্লগের পরিবেশ অবশ্যই সুন্দর ও পরিচ্ছন রাখবেন, যাতে আপনার ব্লগ দেখে ভিজিটররা বিরক্ত না হয়।
  • সবচেয়ে বড় কথা আপনার ব্লগে সব সময় নতুন, নতুন টিউন করবেন। কখনও কপি পেষ্ট করা টিউন দিবেন না। মানে অন্যের লেখা হুবহু কপি করে এনে আপনার ব্লগে চালিয়ে দিবেন না।
  • আশা করি উপরক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার ব্লগ একটি জনপ্রিয় ব্লগে পরিণত হবে।

facebook

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান